প্রশ্ন
বরাবর,
দারুল ইফতা,
আশরাফুল মাদারিস, সতীঘাটা, সদর, যশোর।
বিষয়: লেনদেন সংক্রান্ত মাসয়ালা জানার আবেদন।
মুহতারাম,
১. একজন লোক একটি গাড়ি ক্রয় করেছে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে। সে ঐ গাড়িটি অন্য একজনের কাছে বিক্রি করবে, কিন্তু যার কাছে বিক্রি করবে সে একবারে পরিপূর্ণ টাকা দিতে পারবে না। এ কারণে বিক্রেতা গাড়ির দাম বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। জানার বিষয় হল, বাকির কারণে গাড়ির মূল দামের অতিরিক্ত যে টাকা বিক্রেতা গ্রহণ করেছে, ঐ টাকা হালাল হবে কি না?
২. আমাদের সমাজে দেখা যায়, ১৫০০ টাকার মাল নগদ নিলে ১৫০০ টাকায় দাম নিয়ে থাকে, কিন্তু বাকি নিলে দাম নেয় ২০০০ টাকা। এ ধরণের লেনদেন জায়েয আছে কি না?
বিনীত নিবেদক
মুহাম্মাদ তানভীর হুসাইন
উত্তর
ফাতাওয়া নং- ২৭০
بسم الله الرحمن الرحيم
الجواب حامدا و مصليا و مسلما
১. ২. নগদ বিক্রির তুলনায় বাকিতে মূল্য কিছুটা বেশি নেওয়া জায়েয আছে। তবে এ ধরণের লেনদেন সহীহ করার জন্য শর্ত হলো, পণ্যের মূল্য কত হবে এবং নগদ না বাকি তা চুক্তির সময়ই নির্ধারণ করে নিতে হবে, এবং বাকি হলে তা পরিশোধের সময় স্থির থাকতে হবে। যদি সময়মত পরিশোধ করতে না পারে তাহলেও নির্ধারিত মূল্যই নিতে হবে; বেশি নেওয়া যাবে না, এবং বেশি মূল্যের শর্তও করা যাবে না। অন্যথায় তা সুদী কারবার হয়ে যাবে।
সুতরাং প্রশ্নোল্লিখিত ব্যক্তির ৪০ হাজার টাকার গাড়ি ৬০ হাজারে অথবা ১৫০০ টাকার মাল ২০০০ টাকায় বাকিতে বিক্রি করা সহীহ হয়েছে এবং এ টাকা তার জন্য হালাল। উভয়ের নিকট যখন একটা মূল্য নির্ধারণ হয়েছে। সুতরাং কোন শর্তের ভিত্তিতে তা আর বৃদ্ধি করা যাবে না। অন্যথায় তা সুদী কারবারের কারণে টাকা হারাম হয়ে যাবে।
উত্তর লিখনে
ফাতাওয়া বিভাগ
আশরাফুল মাদারিস (সতীঘাটা মাদরাসা)
সতীঘাটা, সদর, যশোর, বাংলাদেশ