ফাতওয়া নম্বর: ১০৭৭
প্রশ্ন:
আমার প্রশ্ন হল, আমি আমার গ্রামের একটি মসজিদের ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করছি। সেই কারণে মসজিদের ক্যাশ টাকা আমার কাছে আমার দোকানে হেফাজত থাকতো। (আমি আওয়ামীলীগ করতাম) গত ৫ই আগষ্ট সরকারের পতনের দিন রাতে আমার দোকানে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। ফলে দোকানের সমস্ত কিছু পুড়ে ধংস হয়ে যায়। মসজিদের টাকাও পুড়ে যায়। এখন এই টাকা আমাকে মসজিদে পরিশোধ করা লাগবে কি না? এলাকাবাসী ও মসজিদের কমিটিসহ সবাই আমাকে ঐ টাকা মাফ করে দিয়েছে যে, দেওয়া লাগবে না। এখন শরীয়তের বিধান মতে আমাকে কি ঐ টাকা পরিশোধ করতে হবে? দয়া করে দলিলসহ জানিয়ে বাধিত করবেন।
বিনীত নিবেদক
নাম প্রকাশেঅনিচ্ছুক
খুলনা।
উত্তর:
ইসলামী শরীয়তে আমানতদারীতার গুরুত্ব অপরসীম। আমানতহীনতাকে অপূর্ণ ঈমান সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং তা যথাযথরূপে আদায় করা অত্যাবশ্যকীয় একটি বিধান। তবে যদি আমানতকৃত বস্তুটি আমানত গ্রহীতার কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি বা সীমালঙ্ঘন ছাড়া এবং পূর্ণ সংরক্ষণ করা সত্ত্বেও নষ্ট হয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায় তাহলে এই ক্ষেত্রে সে মা’যুর/অপারগ সাব্যস্ত হবে এবং তার জন্য আমানত আদায় না করার সুযোগ আছে।
প্রশ্নোক্ত সুরতে যেহেতু দুর্বৃত্তরা দোকানে আগুন দেওয়ার কারণে আপনার কাছে আমানত হিসেবে গচ্ছিত মসজিদের ক্যাশ টাকাসহ দোকানের সব কিছু পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, বিধায় আপনার পক্ষ হতে কোনো ধরনের সীমালঙ্ঘন না থাকলে আপনার জন্য মসজিদের টাকা পরিশোধ করা আবশ্যক নয়; বরং এ ক্ষেত্রে আপনি অপারগ সাব্যস্ত হবেন।
-সুনানে দারাকুতনী, হাদীস ২৯৬১; কিতাবুল আসল, ইমাম মুহাম্মাদ রহ. ৮/৪৩৮; আদ্দুরুল মুখতার, পৃ.৫৫১; বাদায়িউস সানায়ে ৬/২২১; ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ২৬/১০৮; ফাতাওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ ৫/২৭৩; ফাতাওয়া কাসেমিয়া ২১/১৫৭;
ফাতাওয়া বিভাগ
আশরাফুল মাদারিস (সতীঘাটা মাদরাসা)
সতীঘাটা, সদর, যশোর, বাংলাদেশ